ভিবি নিউজ ডেস্ক:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গুপটি ইউনিয়নের কর্মকার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর মঙ্গলবার গভীর রাতে আগুনে পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আগুন লাগার খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসলেও তার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
২০ অক্টোবর বুধবার সকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওই বাড়ির খোকন কর্মকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সবাই চাঁদপুর শহরে থাকি। রাত আড়াইটার দিকে আমাদের বীরেশ্বর কর্মকারের পরিত্যক্ত একটি ঘরে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিলে আশেপাশের সবাই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে সবাই মিলে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ছুটে আসেন।’
পূর্ব গুপটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। আশেপাশে হিন্দু ও মুসলমানের আরও ঘর ছিল। সেগুলো ঠিক আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি ছাড়াও চাঁদপুর থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে ছুটে যান।’
রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ওই ঘরটি পরিত্যক্ত হলেও ঘরের ভেতর বেশ কিছু লাকড়ি ছিল। ঘরটিতে কেউ না থাকলেও ঘরের সামনে সবসময় ইলেকট্রিক লাইট জ্বলতো। ধারণা করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ ইলেকট্রিক মিটারটি একদম জ্বলে-পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, ওই বাড়ির ৫০ গজ দূরে জঙ্গলের ভেতর একটি মন্দির আছে। নাশকতা হলে সেখানেও আগুন দিত দুর্বৃত্তরা।’
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শহীদ হোসেন বলেন, ‘এটি নাশকতা না অন্য কিছু, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি